স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে সৌদি জেদ্দার বরিমান মারমা সড়কে কাজ করা অবস্থায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান ‘আল ইয়ামামা’ কোম্পানির বাংলাদেশি সুপারভাইজার মোস্তাফিজ।
তিনি বলেন, “জেদ্দা সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটির সামনে থাকা একটি পানি পরিবহন লরি ধাক্কা দিলে গাড়ির সামনে থাকা চালক এবং অপর দুই পরিচ্ছন্নতা কর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
লাশ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য জেদ্দা কনস্যুলেটের সহযোগিতা চেয়ে নিহত শাকিল মিয়ার বড় ভাই সৌদি প্রবাসী রাসেল মিয়া বলেন, “শাকিল আল ইয়ামামা কোম্পানিতে চার বছর ধরে চাকরি করছিল। গত ৮ মাস আগে বিয়ে করে সৌদি আরব এসেছে। আমাদের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে গেল।”
নিহত আল আমিনের চাচাতো ভাই সৌদি প্রবাসী শাহজাহান মিয়া বলেন, “আল আমিন ১৬ বছর ধরে প্রবাস জীবনযাপন করছিল। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আমি ও আল আমিন একসঙ্গে দেশে যাবো টিকিট কেটে রেখেছি। হঠাৎ করে এ দুর্ঘটনায় আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।”
শাহজাহান জানান, দেশে আল আমিনের মা ও স্ত্রী রয়েছে। পরিবারের দুই ভাই-বোনের মধ্য সে ছোট। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় এ দুর্ঘটনায় তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
নিহত কাওসার মিয়ার ছোট মামা আজহারুল ইসলাম বলেন, “কাওসার ওর বাবার একমাত্র ছেলে। জীবিকার সন্ধানে তার বাবাও ১০ বছর আগে সৌদিতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন, ছেলেও একই পথের পথিক হলো। কাওছারের ছোট একটি বোন রয়েছে।”
‘আল ইয়ামামা’ কোম্পানির বাংলাদেশি সুপারভাইজার মোস্তাফিজ জানান, নিহতদের লাশ কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে হিমঘরে রাখা হয়েছে। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনা পরিশোধ করে লাশ দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।